স্বরধ্বনি কাকে বলে?

By Amit Kumar

Published on:

স্বরধ্বনি কাকে বলে
- Advertisement -

Q: স্বরধ্বনি কাকে বলে ?

Ans: যে সকল ধ্বনি অন্য কোনো ধ্বনির সহায্য ছাড়াই নিজেই সম্পূর্ণভাবে উচ্চারিত হয় এবং যাকে আশ্রয় করে অন্য ধ্বণির সৃষ্টি হয় তাকে স্বরধ্বনি বলে। বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি মোট সাতটি। যথা: অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা।

ড. সুনীতিকুমারের মতে, “ স্বরধ্বনি হচ্ছে ঐ শ্রেণির ধ্বনি, যা অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়াই স্বয়ং পূর্ণ ও স্পষ্টরূপে উচ্চারিত হয়”।

- Advertisement -

আধুনিক ভাষাবিদ Daniel Jones বলেন, “ স্বাভাবিক কথাবার্তায় গলনালী ও মুখবিবর দিয়ে বাতাস বেরিয়ে যাওয়ার সময় কোনো জায়গায় বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে কিংবা শ্রুতিগ্রাহ্য চাপা না খেয়ে ঘোষবৎ যে ধ্বনি উদগত হয়, তাই স্বরধ্বনি। 

স্বরধ্বনি কাকে বলে,

স্বরবর্ণ ১১ টি = অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।

মৌলিক স্বরধ্বনি ৭ টি = অ, আ, ই, উ, এ, এ্যা, ও।

প্রকৃত স্বরবর্ণ ৬ টি = অ, আ, ই, উ, এ, ও ।

- Advertisement -

যৌগিক স্বরধ্বনি ২ টি = ঐ, ঔ।


অর্ধ স্বরধ্বনি কয়টি ?

বাংলা ভাষায় অর্ধ স্বরধ্বনি তিনটি আছে।

- Advertisement -

এগুলো হলো:

  • য় (য)
  •  (র)
  •  (ল)

অর্ধ স্বরধ্বনি কেবল ব্যঞ্জনবর্ণ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়।

- Advertisement -

উদাহরণ:

  • কয় (ক + য়)
  • কর (ক + র)
  • কল (ক + ল)

বিঃদ্রঃ:

  •  (ঋষি) কে অর্ধ স্বরধ্বনি বলে মনে করেন অনেকে।
  • অর্ধমাত্রার স্বরধ্বনি (ঋ) একটি

স্বরধ্বনির শ্রেণীবিভাগ:

স্বরধ্বনিকে বিভিন্ন দিক থেকে শ্রেণীবিভাগ করা যায়।

উচ্চারণ স্থান অনুসারে:

  • অগ্র স্বর: জিহ্বা মুখের সামনের দিকে উচ্চারিত হয়। যেমন: ই, এ
  • মধ্য স্বর: জিহ্বা মুখের মাঝখানে উচ্চারিত হয়। যেমন: অ, আ
  • পশ্চাদ্ স্বর: জিহ্বা মুখের পেছনের দিকে উচ্চারিত হয়। যেমন: উ, ও

উচ্চারণ প্রকৃতি অনুসারে:

  • উন্মুক্ত স্বর: জিহ্বা মুখের ভেতরে খুব বেশি বাধা সৃষ্টি না করে উচ্চারিত হয়। যেমন: আ, অ
  • সংবৃত স্বর: জিহ্বা মুখের ভেতরে বাধা সৃষ্টি করে উচ্চারিত হয়। যেমন: ই, উ

ওষ্ঠের অবস্থা অনুসারে:

  • বৃত্তোষ্ঠ স্বর: ওষ্ঠ গোলাকার করে উচ্চারিত হয়। যেমন: উ, ও
  • প্রসারিতোষ্ঠ স্বর: ওষ্ঠ প্রসারিত করে উচ্চারিত হয়। যেমন: ই, এ
  • নিরপেক্ষোষ্ঠ স্বর: ওষ্ঠের কোন বিশেষ পরিবর্তন না করে উচ্চারিত হয়। যেমন: অ, আ

অনুনাসিকতা অনুসারে:

  • মৌখিক স্বর: নাক দিয়ে বাতাস বের না করে মুখ দিয়ে বের করে উচ্চারিত হয়। যেমন: ই, এ, অ, আ, উ, ও
  • অনুনাসিক স্বর: নাক দিয়ে বাতাস বের করে উচ্চারিত হয়। যেমন: ঁই, ঁএ, ঁঅ, ঁআ, ঁউ, ঁও

দৈর্ঘ্য অনুসারে:

  • হ্রস্ব স্বর: অল্প সময় ধরে উচ্চারিত হয়। যেমন: ই, এ, অ, আ, উ, ও
  • দীর্ঘ স্বর: দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চারিত হয়। যেমন: ঈ, এ, ৠ, ঌ, ঊ, ও

উদাহরণ:

স্বরধ্বনিউচ্চারণ স্থানউচ্চারণ প্রকৃতিওষ্ঠের অবস্থাঅনুনাসিকতাদৈর্ঘ্য
অগ্রসংবৃতপ্রসারিতোষ্ঠমৌখিকহ্রস্ব
অগ্রসংবৃতপ্রসারিতোষ্ঠমৌখিকহ্রস্ব
মধ্যউন্মুক্তনিরপেক্ষোষ্ঠমৌখিকহ্রস্ব
মধ্যউন্মুক্তনিরপেক্ষোষ্ঠমৌখিকহ্রস্ব
পশ্চাদসংবৃতবৃত্তোষ্ঠমৌখিকহ্রস্ব
পশ্চাদউন্মুক্তবৃত্তোষ্ঠমৌখিকহ্রস্ব

বিঃদ্রঃ:

  • এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়।
  • বিভিন্ন ভাষাবিজ্ঞানী স্বরধ্বনির শ্রেণীবিভাগ ভিন্ন ভিন্নভাবে করেছেন।

Leave a Comment