Q: অর্ধস্বর কাকে বলে?
Ans: অর্ধস্বরধ্বনি হল এমন ধ্বনি যা স্বরবর্ণমালার অংশ হওয়ায় অতিক্ষুদ্র অথবা স্বরবর্ণমালায় অংশীদার হওয়ায় পূর্ণ স্বর নয়, তবে স্বরের মতো মনে হয়। যেমন: “অং”, “অন”, “ইং”, “ইন” ইত্যাদি। এই ধ্বনিগুলো বাংলা ভাষায় অর্ধস্বরধ্বনি বলা হয়। ইংরেজিতে এই ধরণের ধ্বনিকে “Semi-Vowel” বলা হয়।
উদাহরণ: বাংলায়, “ই” (যা /i/ হিসেবে উচ্চারিত হয়) সেমি-ভাওয়েলের একটি উদাহরণ হল। এটি যেমন স্বরবর্ণ /i/ এর মতো মনে হয়, তেমনি এটি শব্দের গঠনে ব্যঞ্জনধ্বনির মতো কাজ করে যখন অন্য স্বরসহ স্বরবর্ণের সাথে ব্যবহৃত হয় যাতে শব্দের কথা বলা যায়। যেমন, “আইন” শব্দে, সেমি-ভাওয়েল “ই” স্বর “অ” এর আগে আসে যা “ইঅ” স্বরবর্ণ তৈরি করে, যেখানে “ই” সেমি-ভাওয়েল হিসেবে কাজ করে। অনুরূপভাবে, “আইলা” শব্দে, সেমি-ভাওয়েল “ই” স্বর “ল” এর আগে আসে যা “ইল” স্বরবর্ণ তৈরি করে, যেখানে “ই” সেমি-ভাওয়েল হিসেবে কাজ করে।
Table of Contents
“অর্ধস্বরধ্বনি” (সেমিভোয়েল) এর কিছু উদাহরণ এবং ব্যবহারের কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
১। উচ্চারণে ব্যবহার:
- “অং”, “অন”, “ইং”, “ইন” ইত্যাদি শব্দগুলিতে সেমিভোয়েল উচ্চারণের একটি ভূমিকা পালন করে, যা স্বরবর্ণের মধ্যে অতি সামান্য শব্দ তৈরি করে যা একটি পূর্ণ স্বর নয়। উদাহরণস্বরূপ, “অং” শব্দে, সেমিভোয়েল “ং” করে “অ” এবং “গ” এর মধ্যে শব্দটি মুখর করে উচ্চারিত হয়।
২। ব্যঞ্জন-স্বরের সমন্বয়:
- সেমিভোয়েল সাধারণত ব্যঞ্জন-স্বরের সমন্বয়ে প্রকাশ পায় যেখানে একটি স্বরের সাথে মেলে যায় এবং একটি শব্দের অংশ হিসাবে প্রদর্শিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, “ক্যা” শব্দে, সেমিভোয়েল “য” ব্যঞ্জনটি “আ” স্বরের সাথে মিলে “ক্যা” শব্দের ক্যা সিলেবাস তৈরি করে।
৩। শব্দের শেষে:
- কিছু শব্দে সেমিভোয়েল শব্দের শেষে প্রকাশ পায়। উদাহরণস্বরূপ, “ধন্য” শব্দে, সেমিভোয়েল “য” শব্দের শেষে প্রকাশ পায়।
৪। ক্রিয়া ব্যাখ্যানে:
- বাংলা ক্রিয়া ব্যাখ্যানে, সেমিভোয়েল সময় স্বরবর্ণের শেষে প্রকাশ পায় যাতে ক্রিয়ার কার্য, কাল বা আবেগ নির্দেশ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, বর্তমান স্থিতিমত ক্রিয়া, সাধারণত “চ্ছি” এর মতো সেমিভোয়েল ব্যবহৃত হয়।
৫। সংমিশ্রিত শব্দে:
- সেমিভোয়েল সংমিশ্রিত শব্দে সাধারণত দেখা যায় যেখানে এটি শব্দের উপাংশগুলির মধ্যে লিঙ্ক করে। উদাহরণস্বরূপ, “দুঃখজনক” শব্দে, সেমিভোয়েল “য” শব্দগুলির মধ্যে লিঙ্ক করে এবং “দুঃখ” ও “জনক” একই শব্দের একটি শব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়
বাংলায় অর্ধস্বর ধ্বনি কয়টি?
বাংলা ভাষাতে অর্ধস্বরধ্বনি আছে চারটি; এগুলি ই, উ, এ এবং ও স্বরধ্বনিগুলির অর্ধোচ্চারিত রূপ।
অর্ধ স্বরধ্বনি কি কি?
অর্ধ স্বরধ্বনি ৪ টা- ই্, উ্, য়্ (=এ্), ও্
উদাহরণ: বই, ঢেউ, যায়, যাও। ‘ইচ্ছা’ শব্দের ‘ই’ যেভাবে পূর্ণরুপে উচ্চারিত হচ্ছে ‘বই’ শব্দের ‘ই’ সেভাবে উচ্চারিত হচ্ছে না, অসম্পূর্ণ স্বরধ্বনিরর মতো উচ্চারিত হচ্ছে, তাই এগুলোকে অর্ধ-স্বরধ্বনি বলা হয়।
অর্ধস্বর কাকে বলে?
পৃথিবীর সকল ভাষাতেই বাগধ্বনিসমূহকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়- ব্যঞ্জনধ্বনি এবং স্বরধ্বনি। ফুসফুস থেকে বাতাস বেরিয়ে আসার সময় বাপ্রত্যঙ্গগুলো যদি ততখানি সক্রিয় না থাকে এবং তেমন অনুরণিত না হয়, এমতাবস্থায় উচ্চারিত স্বরধ্বনিসমূহকে অর্ধ-স্বরধ্বনি বলে। উচ্চারণ প্রক্রিয়ার দিক থেকে অর্ধ-স্বরধ্বনি স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝামাঝি। অর্থাৎ এ ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় স্বর ও ব্যঞ্জন উভয় ধ্বনির ধ্বনিপ্রকৃতি গ্রহণ করে ।